ট্রাম্প কি বিশ্বায়নকে ধ্বংস করবেন? বৈশ্বিক বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে

আজকের পরস্পর-সংযুক্ত পৃথিবীতে একটি মেক্সিকান বিয়ার পান করা, ভিয়েতনামে তৈরি টি-শার্ট পরা, নেটফ্লিক্সে একটি মার্কিন সিরিজ দেখা এবং এটি সব করা চীনে তৈরি স্মার্টফোনে—হয়তো প্যারিসের কোনো ক্যাফেতে বসেই—এখন খুবই সাধারণ একটি দৃশ্য। এসব অভ্যাস আমাদের জীবনে বিশ্বায়নের গভীর উপস্থিতিকে প্রতিফলিত করে।

কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক মঞ্চে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে আবারও প্রশ্ন উঠছে এই বৈশ্বিক ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে। প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ট্রাম্প “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতিতে জোর দিয়েছিলেন, প্রধান বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর শুল্ক আরোপ করেছিলেন এবং আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে সরে এসেছিলেন, যা বৈশ্বিক বাণিজ্য নেটওয়ার্ক ধসে পড়ার আশঙ্কা বাড়িয়েছিল।

বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন, ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় এলে বাণিজ্য যুদ্ধ, দেশীয় উৎপাদন ফিরিয়ে আনা, এবং অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদের দিকে তীব্র ঝুঁকে পড়া আবারও দেখা যেতে পারে। কেউ কেউ মনে করেন এতে দেশীয় শিল্প সুরক্ষিত হবে, আবার অনেকে বলেন, এর ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্যের দক্ষতা, উদ্ভাবন ও সাংস্কৃতিক বিনিময় হুমকির মুখে পড়বে

বিশ্ব যখন সম্ভাব্য আরেকটি ট্রাম্প প্রেসিডেন্সির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন বিতর্ক আরও জোরালো হচ্ছে: বিশ্বায়ন কি হুমকির মুখে, নাকি এটি টিকে থাকবে এবং নতুন রূপে খাপ খাইয়ে নেবে?